০১:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জরুরী বিভাগ ব্যতীত সমস্ত চিকিৎসা সেবা বন্ধ, দাবি আদায়ে অটল শিক্ষার্থী ও চিকিৎসারা

শাকিল আহম্মেদ, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের ৫ দফা দাবির বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি ও আন্দোলনে নেমেছেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ছাড়া সব চিকিৎসাসেবা এবং কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন।

আজ রবিবার (৯ মার্চ) সকাল ১১টায় হাসপাতাল ফটকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীরা তাদের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে ইন্টার্ন চিকিৎসক ডাঃ ইফাজ আল শাওন, ডাঃ সৈকত মাহমুদ, ডাঃ রায়হান খন্দকার, ডাঃ শোয়েব শাহরিয়ার, ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী আল আরাফাত, ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ আল মারুফসহ প্রতিষ্ঠানের সকল ইন্টার্নী চিকিৎসক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, তাদের দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তারা দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকরা একযোগে ঘোষণা দেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কার্যকরী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

হাসপাতালে আসা রোগীরা চিকিৎসাসেবা না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন। শুধুমাত্র জরুরি বিভাগ চালু থাকলেও অন্যান্য বিভাগ বন্ধ থাকায় অনেক রোগীকে ফিরে যেতে হচ্ছে।

৫ দফা দাবি সমূহ হলোঃ

১. MBBS/BDS বারীত কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না” BMDC এর উক্ত আইনের বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে ও BMDC রেজিস্ট্রেশন শুধুমাত্র MBBS/ BDS ডিগ্রীধারীদের দিতে হবে।

২. উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ OTC Drug list update করতে হবে। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো OTC list এর বাইরে কোন ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।

৩. স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসনের দ্রুত ১০ হাজার জন ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে সকল শূণ্য পদ পূরণ করতে হবে আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে পূর্বের মতো সপ্তম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে।

৪. সকল মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ও মানহীন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহ বন্ধ করে দিতে হবে। ইতিমধ্যে এসএসসি পাস করা ম্যাথ শিক্ষার্থীদের এস এস সি এম ও পদবী রোহিত করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

৫.চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

রাত হলেই সায়েস্তাবাদে গড়ে মাদকের সাম্রাজ্য

জরুরী বিভাগ ব্যতীত সমস্ত চিকিৎসা সেবা বন্ধ, দাবি আদায়ে অটল শিক্ষার্থী ও চিকিৎসারা

Update Time : ০২:৪২:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

শাকিল আহম্মেদ, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের ৫ দফা দাবির বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি ও আন্দোলনে নেমেছেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ছাড়া সব চিকিৎসাসেবা এবং কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন।

আজ রবিবার (৯ মার্চ) সকাল ১১টায় হাসপাতাল ফটকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীরা তাদের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে ইন্টার্ন চিকিৎসক ডাঃ ইফাজ আল শাওন, ডাঃ সৈকত মাহমুদ, ডাঃ রায়হান খন্দকার, ডাঃ শোয়েব শাহরিয়ার, ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী আল আরাফাত, ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ আল মারুফসহ প্রতিষ্ঠানের সকল ইন্টার্নী চিকিৎসক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, তাদের দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তারা দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকরা একযোগে ঘোষণা দেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কার্যকরী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

হাসপাতালে আসা রোগীরা চিকিৎসাসেবা না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন। শুধুমাত্র জরুরি বিভাগ চালু থাকলেও অন্যান্য বিভাগ বন্ধ থাকায় অনেক রোগীকে ফিরে যেতে হচ্ছে।

৫ দফা দাবি সমূহ হলোঃ

১. MBBS/BDS বারীত কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না” BMDC এর উক্ত আইনের বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে ও BMDC রেজিস্ট্রেশন শুধুমাত্র MBBS/ BDS ডিগ্রীধারীদের দিতে হবে।

২. উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ OTC Drug list update করতে হবে। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো OTC list এর বাইরে কোন ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।

৩. স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসনের দ্রুত ১০ হাজার জন ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে সকল শূণ্য পদ পূরণ করতে হবে আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে পূর্বের মতো সপ্তম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে।

৪. সকল মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ও মানহীন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহ বন্ধ করে দিতে হবে। ইতিমধ্যে এসএসসি পাস করা ম্যাথ শিক্ষার্থীদের এস এস সি এম ও পদবী রোহিত করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

৫.চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।