১১:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয়পুরহাটে অর্থপেডিক চিকিৎসক ডা. আতাউল হকের অপচিকিৎসায় পঙ্গুত্ববরণ করা ভুক্তভোগী এক রোগী আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে নিঃস্ব হওয়ায় ক্ষতিপূরণ ও বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রুগী জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছি বোর্ডঘর গ্রামের আবু বক্করের ছেলে আবু হায়াত। আবু হয়াত তাঁর লিখিত অভিযোগ পাঠ করে জানান, দুর্ঘটনায় তার ডান পায়ের আর ভেঙে গেলে তিনি ডাক্তার আতাউল হকের শরণাপন্ন হন। দিন ছিল ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর। সেদিন তিনি চিকিৎসার জন্য জয়পুরহাট শহরের একটি বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে যান। সেদিন নগদ দেড় লাখ টাকা নিয়ে জয়পুরহাট শহরের ওই বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা প্রদান শুরু করেন অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক ডা. আতাউল হক। সেই থেকে তিনি ডা. আতাউল হকের পরামর্শ মত নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করতে থাকেন। এরই এক পর্যায়ে তাঁর (আবু হায়াতের) ক্ষতস্থানে পচন ধরে। যা একপর্যায়ে হাড় পর্যন্ত গিয়ে ঘা হয়। এরপরও ডা. আতাউল হকই তাঁকে নিয়মিত চিকিৎসা দিতে থাকেন। তবে রোগীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তখন অবস্থা বেগতিক দেখে ওই চিকিৎসক তাঁকে ঢাকায় গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু ততোদিনে তাঁর আরও প্রায় দুলাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। ওই টাকা সংগ্রহ করতেই তাঁকে তাঁর সহায় সম্পত্তি বিক্রি করতে হয়। এতে তিনি নিঃস্ব হয়ে পড়েন। ঢাকায় গিয়ে উন্নত চিকিৎসা করার মতো সম্বল তাঁর নেই। এ অবস্থায় তিনি আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক ডা. আতাউল হকের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। আনীত অভিযোগ বিষয়ে অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক ডা. আতাউল হকের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

  • CN Bangla
  • Update Time : ০২:১১:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
  • ৪ Time View
মোঃ মিজানুর রহমান, জয়পুরহাট:
জয়পুরহাটে  অর্থপেডিক চিকিৎসক ডা. আতাউল হকের অপচিকিৎসায় পঙ্গুত্ববরণ করা ভুক্তভোগী এক রোগী আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে নিঃস্ব হওয়ায় ক্ষতিপূরণ ও বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।  শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রুগী জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছি বোর্ডঘর গ্রামের আবু বক্করের ছেলে আবু হায়াত।
আবু হয়াত তাঁর লিখিত অভিযোগ পাঠ করে জানান,  দুর্ঘটনায় তার ডান পায়ের আর ভেঙে গেলে তিনি  ডাক্তার আতাউল হকের শরণাপন্ন হন। দিন ছিল ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর।  সেদিন তিনি চিকিৎসার জন্য জয়পুরহাট শহরের একটি বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে যান। সেদিন নগদ দেড় লাখ টাকা নিয়ে জয়পুরহাট শহরের ওই বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা প্রদান শুরু করেন অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক ডা. আতাউল হক। সেই থেকে তিনি ডা. আতাউল হকের পরামর্শ মত নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করতে থাকেন। এরই এক পর্যায়ে তাঁর (আবু হায়াতের) ক্ষতস্থানে পচন ধরে। যা একপর্যায়ে হাড় পর্যন্ত গিয়ে ঘা হয়। এরপরও ডা. আতাউল হকই তাঁকে নিয়মিত চিকিৎসা দিতে থাকেন। তবে রোগীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তখন অবস্থা বেগতিক দেখে ওই চিকিৎসক তাঁকে ঢাকায় গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু ততোদিনে তাঁর আরও প্রায় দুলাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। ওই টাকা সংগ্রহ করতেই তাঁকে তাঁর সহায় সম্পত্তি বিক্রি করতে হয়। এতে তিনি নিঃস্ব হয়ে পড়েন। ঢাকায় গিয়ে উন্নত চিকিৎসা করার মতো সম্বল তাঁর নেই।  এ অবস্থায় তিনি আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক ডা. আতাউল হকের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
আনীত অভিযোগ বিষয়ে অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক ডা. আতাউল হকের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সুবর্ণচরে “মোহাম্মদপুর যুব সংগঠনের”উদ্যোগে ইফতার মাহফিল

জয়পুরহাটে অর্থপেডিক চিকিৎসক ডা. আতাউল হকের অপচিকিৎসায় পঙ্গুত্ববরণ করা ভুক্তভোগী এক রোগী আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে নিঃস্ব হওয়ায় ক্ষতিপূরণ ও বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রুগী জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছি বোর্ডঘর গ্রামের আবু বক্করের ছেলে আবু হায়াত। আবু হয়াত তাঁর লিখিত অভিযোগ পাঠ করে জানান, দুর্ঘটনায় তার ডান পায়ের আর ভেঙে গেলে তিনি ডাক্তার আতাউল হকের শরণাপন্ন হন। দিন ছিল ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর। সেদিন তিনি চিকিৎসার জন্য জয়পুরহাট শহরের একটি বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে যান। সেদিন নগদ দেড় লাখ টাকা নিয়ে জয়পুরহাট শহরের ওই বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা প্রদান শুরু করেন অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক ডা. আতাউল হক। সেই থেকে তিনি ডা. আতাউল হকের পরামর্শ মত নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করতে থাকেন। এরই এক পর্যায়ে তাঁর (আবু হায়াতের) ক্ষতস্থানে পচন ধরে। যা একপর্যায়ে হাড় পর্যন্ত গিয়ে ঘা হয়। এরপরও ডা. আতাউল হকই তাঁকে নিয়মিত চিকিৎসা দিতে থাকেন। তবে রোগীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তখন অবস্থা বেগতিক দেখে ওই চিকিৎসক তাঁকে ঢাকায় গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু ততোদিনে তাঁর আরও প্রায় দুলাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। ওই টাকা সংগ্রহ করতেই তাঁকে তাঁর সহায় সম্পত্তি বিক্রি করতে হয়। এতে তিনি নিঃস্ব হয়ে পড়েন। ঢাকায় গিয়ে উন্নত চিকিৎসা করার মতো সম্বল তাঁর নেই। এ অবস্থায় তিনি আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক ডা. আতাউল হকের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। আনীত অভিযোগ বিষয়ে অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক ডা. আতাউল হকের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

Update Time : ০২:১১:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
মোঃ মিজানুর রহমান, জয়পুরহাট:
জয়পুরহাটে  অর্থপেডিক চিকিৎসক ডা. আতাউল হকের অপচিকিৎসায় পঙ্গুত্ববরণ করা ভুক্তভোগী এক রোগী আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে নিঃস্ব হওয়ায় ক্ষতিপূরণ ও বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।  শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রুগী জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছি বোর্ডঘর গ্রামের আবু বক্করের ছেলে আবু হায়াত।
আবু হয়াত তাঁর লিখিত অভিযোগ পাঠ করে জানান,  দুর্ঘটনায় তার ডান পায়ের আর ভেঙে গেলে তিনি  ডাক্তার আতাউল হকের শরণাপন্ন হন। দিন ছিল ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর।  সেদিন তিনি চিকিৎসার জন্য জয়পুরহাট শহরের একটি বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে যান। সেদিন নগদ দেড় লাখ টাকা নিয়ে জয়পুরহাট শহরের ওই বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা প্রদান শুরু করেন অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক ডা. আতাউল হক। সেই থেকে তিনি ডা. আতাউল হকের পরামর্শ মত নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করতে থাকেন। এরই এক পর্যায়ে তাঁর (আবু হায়াতের) ক্ষতস্থানে পচন ধরে। যা একপর্যায়ে হাড় পর্যন্ত গিয়ে ঘা হয়। এরপরও ডা. আতাউল হকই তাঁকে নিয়মিত চিকিৎসা দিতে থাকেন। তবে রোগীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তখন অবস্থা বেগতিক দেখে ওই চিকিৎসক তাঁকে ঢাকায় গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু ততোদিনে তাঁর আরও প্রায় দুলাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। ওই টাকা সংগ্রহ করতেই তাঁকে তাঁর সহায় সম্পত্তি বিক্রি করতে হয়। এতে তিনি নিঃস্ব হয়ে পড়েন। ঢাকায় গিয়ে উন্নত চিকিৎসা করার মতো সম্বল তাঁর নেই।  এ অবস্থায় তিনি আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক ডা. আতাউল হকের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
আনীত অভিযোগ বিষয়ে অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক ডা. আতাউল হকের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া যায়নি।