
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছাত্রশিবির নেতা আসাদুল্লাহ তুহিন হত্যা মামলার দুই আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি এবং পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ইব্রাহিম আলী।
রোববার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি শেষে দুজনকে দুই দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দেন আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম। দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ কয়েক দিন আগে আদালতে ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেছিল।
তুহিন হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম নূরুল কাদির সৈকত এ তথ্য জানিয়েছেন।
তদন্তকারি কর্মকর্তা সৈকত জানান, মামলার এজাহার নামীয় আসামি এজাবুল হক ও ইব্রাহিম আলীকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। আজ (১৬ মার্চ) রিমান্ড শুনানির জন্য ধার্য তারিখ ছিল। রোববার সকালে জেলা কারাগার থেকে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। বিকেল থেকে তাদের পুলিশ হেফাজতে নেয়া হবে।
পুলিশ জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা এজাবুল হক বুলি উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষে ১১ মার্চ তিনি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। কিন্তু আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ছাড়াও একই মামলার ৬ নম্বর আসামি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ইব্রাহিম আলী অন্য একটি মামলায় আগে থেকেই কারাগারে ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৬ জানুয়ারি ছাত্রশিবির নেতা আসাদুল্লাহ তুহিনকে বাসা থেকে চোখ বেঁধে নিয়ে যায় র্যাব সদস্যরা। এরপর সড়ক দুর্ঘটনার তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে র্যাব। ঘটনার ৯ বছর পর গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর হত্যা মামলা দায়ের করেন আসাদুল্লাহ তুহিনের মামা মো. কবিরুল ইসলাম। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, র্যাবের সাবেক ডিজি, সাবেক সংসদ সদস্য, র্যাব ও পুলিশের কর্মকর্তা এবং আওয়ামী লীগের নেতাসহ ২৮ জনকে আসামি করা হয়।